কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে বসতভিটার চলাচলের রাস্তা জবর দখল চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে। ভূক্তভোগীরা ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, ঈদগাঁও দরগাহ পাড়া টুইন্যামুরা এলাকার মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে মাহবুব আলম দীর্ঘদিন ধরে উক্ত এলাকায় বসবাস করে আসছে। পাশর্^বর্তী করম আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম গং প্রভাবশালীদের ইন্ধনে মাহবুবুল আলমের বসতবাড়ীর চলাচলের রাস্তাটি জবরদখলে নিতে বিভিন্ন অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উক্ত রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে রাস্তার উপর বালি, ইট স্তুপকৃত করে রাখে এবং মাহবুবুল আলমের পরিবার-পরিজনের উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী এএসআই লিটনুর রহমান জয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মালিক পক্ষ মাহবুবুল আলম জানান, নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নুর আয়েশা, মেয়ে কহিনুর আক্তার তাদেরকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং তাদের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করছে। অভিযোগ উঠা নুরুল ইসলামের স্ত্রী নুর আয়েশার সাথে কথা হলে তিনি রাস্তায় দেওয়াল নির্মাণ করে জবর দখল চেষ্টা ও হুমকি-ধমকির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ রাস্তা দিয়ে তাদেরকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে খুনের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
মাহবুবুল আলমের ছোট ভাই শফি জানান, ২০০৬ সালেও এরা চলাচলের রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা করছিল। তৎকালীন স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ও ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি আশরাফুজ্জামানের যৌথ বৈঠকের বিচার শালিসে এরা ৩শ টাকা স্ট্যাম্পে না দাবী দেয় এবং কাগজপত্র মতে নুরুল ইসলাম উক্ত জায়গায় ১২ কড়ার মালিক হলেও বর্তমানে সে ১৬ কড়া ভোগ দখলে রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন সময় এরা রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা করে এবং প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ এবং জবর দখল চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয়পক্ষের সাথে কথা হয়েছে এটা বৈঠকের মাধ্যমেই সমাধান হবে। এলাকাবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাঠকের মতামত: